Thursday, March 19, 2015

Robert Bruce Final


The honesty of a poor wood cutter

Once there lived a poor wood-cutter. But he was very honest. Everyday he went out to cut wood in the jungle. He earned his livelihood by selling wood in the market. One day while he was cutting wood beside a river, suddenly his axe slipped out of his hand and fell into deep water and he grieved and began to weep bitterly.
His bitter cry drew the attention of the water-goddess. She rose up and asked him, “Why do you weep, good man?” The wood-cutter told her of his serious loss. The water-goddess took pity on him. She dived into the water and brought one golden axe and asked him, “Is this your axe?”
“No”, replied the wood-cutter.
Then the goddess again dived into the water and brought a silver axe. This time also the wood-cutter said that it was not his axe. So the water-goddess dived for the third time and brought the actual axe of the wood-cutter. The wood-cutter was very glad to get back his axe but his joy knew no bounds when the water-goddess gave him all the three axes.
A neighbour of the wood-cutter was very greedy. He heard all these and wanted to have a golden axe. In similar way he went to cut wood by the side of the river. While cutting wood he threw his axe willingly into water. The water-goddess came before him with a golden axe and said, “Is this yours?” He said, “Yes”. The goddess became very angry at his greed and dishonesty and disappeared. He lost his own axe and did not get any. Thus the wood-cutter was rewarded for his greed.

Who is to bell the cat

In a grocer’s shop there lived many mice. There was plenty of food for them in the shop. They are grains and dry fruits, bread and biscuits, jam and cheese. 
The grocer suffered heavy losses because of the mice. He said to himself, “I must do something to get rid of the mice of some day they will be the end of me.” One day the grocer brought a big, fat cat to the shop. Now the mice could not move about freely. 
Every day the cat would catch and kill some of them. The mice were worried. They held a meeting. All of them said, “We must get rid of the cat somehow.” But what could they do? They had no answer. Then a smart looking mouse stood up and said, “The cat moves very softly and swiftly. She takes us unaware. 
We must tie a bell round her neck.” Another mouse suggested him, “The bell will ring, when the cat moves. So it will be possible for us to keep at a safe distance from her.” All the mice welcomed the suggestion with a loud cry of ‘Hurrah! Then an old mouse stood up and said, “Stop this rejoicing. Can you tell me who will bell the cat?” And all of them were quiet. They had no answer. 

The piper and the villagers

There were thousands of rats everywhere in a village. They were in homes, in shops, in godowns and in fields. They ate a lot of corn and other eatables. They destroyed furniture, clothes and papers. The villagers suffered heavy losses because of the rats. They wanted to get rid of the rats at any cost.
     One day a piper came to the village and said, "I will destroy all the rats in the village. But you must pay me five thousand rupees as my fee for destroying the rats."
The villagers agreed to pay him five thousand rupees. Then the piper played a very sweet tune on his pipe. All the rats in the homes, in the shops, in the godowns and in the fields heard the sweet music and streamed out onto the streets. They danced to the tune of the music. The piper walked towards the river and they followed him. The piper stepped into the river water. The rats, too, jumped in to the river and were all drowned.
     The piper came back to the villager and asked for five thousand rupees. The villagers refused to pay.
The piper said, "You are cheats. Now I am going to play another tune on the pipe and you will have to pay me ten thousand rupees."
      When the piper played another tune, much sweeter than the earlier one, the children of the villagers rushed out onto the streets and began to dance vigorously.
      The music and the dance went on and on and on. The villagers could stop neither the piper nor the children. At last the villagers feared that over-exertion would kill their children. They felt sorry for being dishonest with the piper.
“Here is your ten thousand rupees. Please take the money and stop the music.” They requested the piper.

The piper stopped the music, took the money and went on his way. The children went back to their parents.

Reward of Truthfulness

In his boyhood Hazrat Abdul Quader Zilani (R) was going to Baghdad for education. One the eve of his departure from home, his mother said to him, “My son, never tell a lie and don’t get frightened in danger.”
Baghdad was far away from his home. He began his journey in the company of a band of merchants. The way was infested with robbers.

After five days a gang of robbers fell upon the travelers. One of the robbers caught hold of the boy and brought him before their captain the captain said. “He is a mere boy; He seems to have nothing worth the name with him. Let him go.” But the boy Abdul Quader (R) boldly told the truth. He said, “I have with me no fewer than fifty gold coins sewed up inside my coat.” The captain unsewed the coat and found out gold coins. He amazed.


The truthfulness of the boy could not but impress the captain of gang and he, along with his associates, embraced Islam on the spot and took an oath to give up the foul practice of robbery.

Two friends

One fine morning two friends set out on a boating trip. They sailed the boat in the calm sea and talked merrily. Soon they were far away from the shore.
All on a sudden, the sky grew dark. A high wind started blowing hard. The sea became rough. The boat tossed up and down in the stormy sea.

Luckily, the two friends saw a plank floating on the sea. So they jumped into the sea and caught it. But the plank was too small to bear the weight of two.
“You are a married man. You must live for your wife and children. I am single and so I must go,” said one friend to the other.
“But you have your mother and sister. Who will take care of them?” argued the married man.
“Indeed you!” said the young man and let off the plank. He was drowned.


After the storm was over, the married friend reached home safely. He took care to the mother and the sister of his noble friend who was no more in this world.

Saturday, March 14, 2015

নীলক্ষেত যাচ্ছি EMBA র বাসে করে

আরো কিছু বই কিনতে নীলক্ষেত যাচ্ছি EMBA র বাসে করে। বিজনেস ফ্যাকাল্টির সামনে থেকে উঠে একতলা BRTC র লাল বাসটিতে গাদাগাদি করে দাড়িয়ে যাবার মধ্যেও কোন ক্লান্তি অনুভূত হচ্ছিলো না। তার নিদৃষ্ট কারণও অাছে।

৫২ সিটে ৫২ জন আর আমার মতো দাড়িয়ে আরো ১৫-১৭ জন। তাদের মধ্যে সামনের সিটে বসে আছে এই মাত্র আমাদের ক্লাস নিয়ে বের হওয়া Fundamental of Management Science সাবজেক্টের কোর্স টিচার। অন্য সিটে বসে থাকা কয়েকজনের মাথায় চুলের পরিমান কম থাকায় ধারনা করেছিলাম তারাও হয়তো কোন সাবজেক্টের গেস্ট টিচার। শিক্ষাদান শেষে ক্লান্ত মনে বাসায় ফিরছেন।

EMBA করতে আসা বিিভন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত ও চাকুরিপ্রার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ভ্রমনে যথেষ্ট নিরবতা আশা করেছিলাম।
কিন্তু বাস ছাড়ার কিছুক্ষন পর আমার সকল ধারনা মিথ্যা প্রমান করে সাদা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরা, ডান হাতে স্টীলের ব্রাসেলট এবং চোখের কালো সানগ্লাস দ্বারা মাথার সামনের অংশের টাক ঢাকা এক বড় ভাই মনের সুখে আপন মুখে বাসের মধ্যে গান শুরু করে দিলো। মুহূর্তেই তার সাথে যোগ দিলো প্রায় একই অবস্থা সম্পন্ন অল্পদিনের পরিচিত বন্ধুরা। একে একে অনেকেই নিজেদের সিট থেকে উঠে গিয়ে রীতিমতো বাসের মধ্যে ড্যান্স দেবার উপক্রম। সুন্দরী কিছু বড় আপুরা চুপটি মেরে বসে বসে মুচকি হাসি হাসছে। সামনের ছিটগুলোতে যারা বসে ছিলো তারা হয়তো যোগদান করতে না পারে আফসোস করছে।


ছাত্র জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এত শত চিন্তা মাথায় নিয়ে তাদের কাছ থেকে এমন আনন্দ আশা করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু জীবন যত কঠিনই হোক আর বয়স যত বেশিই হোক, সুযোগ পেলেই সে তার বাল্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়। কিছুক্ষনের জন্য ভুলে যেতে চায় স্থান, কাল ও পাত্রের ভেদাভেদ। লুটে নিতে চায় সামনে উপস্থিত মজা গুলোকে।

তো তাদের মজা করার সীমা যখন ধীরে ধীরে বাসের পিছনের অংশ হতে সামনের অংশে আসতে শুরু করলো, আর তাদের দলে লোকের সংখ্যা যখন আরো বেড়ে গেলো, সামনের ছিটে বসে থাকা মাথায় চুল নেই দেখে যাকে স্যার ভেবে গুটিসুটি হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম সেও যখন ফূর্তিতে যোগ দিলো, তখন বুঝলাম ছাত্রদের পক্ষেও টাক হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
বয়স বয়সের জায়গায়, আনন্দ আনন্দের জায়গায়। দুটোকে একসাথ না করাই ভালো।

নিউমার্কেটের সমনে চলে আসায় বাস থেকে নেমে চলছি নীলক্ষেতের দিকে.....

Wednesday, March 11, 2015

একটু পরে জুম্মার নামায

একটু পরে জুম্মার নামায শুরু হবে। ঈমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছেন।

ছোট-বড়, ছাত্র-শিক্ষক, চাকর-মনিব, ধনী-গরীব সবাই এক এক করে মসজিদে প্রবেশ করে সামনে থেকে লাইন ধরে বসে যাচ্ছে। বসার সময় কেউ একবারও চিন্তা করছে না পাশের লোকটা শত্রু না মিত্র, ধনী না গরীব। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নাই। প্রায় আধা ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সবাই খুতবা শুছে। আরবীতে খুতবা হচ্ছে, কেউ বুঝুক বা না বুঝুক সবাই শুনবেই।
এত ব্যস্ত এই মানুষ গুলো চুপ করে বসে আছে। একমাত্র নামায ছাড়া এই মানুষ গুলোকে এভাবে একত্র করা সম্ভব নয়।


.....মহান ধর্ম ইসলাম, এমনই এক সিস্টেম করে দিয়েছে, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত কোন পরিবর্তন হবে না।

সবকিছু বোঝার পরেও যারা ইসলাম কবুল করেনি বা পরিপূর্ন ভাবে ইসলামে প্রবেশ করেনি তাদের জন্য আফসোস। আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দিক।

বাসে ঘুমানোর একটা নিয়ম আছে

বাসে ঘুমানোর একটা নিয়ম আছে। যাত্রা দীর্ঘ (১ ঘন্টার বেশি) হলে বাসে ওঠা মাত্রই ঘুমাতে হবে। কন্ট্রাকটারকে টাকা দেবার আগেই। তাহলে টাকার নেবার জন্য কিছুক্ষন পর সে আপনার কাচাঁ ঘুম ভেঙ্গে দিবেই। টাকা দিয়ে আবার ঘুমাবেন। সেই ঘুমটাই হবে শ্রেষ্ঠ ঘুম। wink emoticon ভিন্ন মত থাকতেই পারে। তবে কেউ আমার কাচা ঘুম ভেঙ্গে দিলে আমার পরের ঘুমটা বেশি ভাল হয়।
চড়ুইপাখি রাতে মনেহয় চোখে দেখে না। মিরপুর ১০, বাসে বসে আছি, চাচাতো বোনের বৌভাত খেয়ে জাহাঙ্গীরনগর যাবো। অনেকদিন পর ফুফাতো ভাইদের সাথে দেখা হলো। বড়জনের গাড়িতে করেই এখানে আসলাম। যাই হোক, বাস ছাড়ার আগে জানালা দিয়ে ডানে তাকিয়ে দেখলাম দুইটা পিচ্চি ছোট একটা গাছে উঠছে। সাথে একটা সাদা রঙের বস্তা। বাসের ড্রাইভারের ঝাড়ি খেয়ে গাছ থেকে নেমে গেল। ড্রাইভার আমাকে বললো প্রতিরাতেই এরা এভাবে পাখিগুলো ধরে। সম্ভবত বিক্রয়ের জন্য।
অন্য প্রসঙ্গ, রিকসায় আজ আমার পাশে একজন ভালো মানুষ ছিলো।
কাল সকাল ১০ টায় পরীক্ষা। এটা না থাকলে ভালো হতো। বাধ্য হয়ে এখন ক্যাম্পাসে ফিরে যাচ্ছি।

ভালো হতে পয়সা লাগে না

ভালো হতে পয়সা লাগে না, লাগে ঝাড়ি মিশ্রিত উপদেশ ও দোয়া।

ভবিষ্যৎ মানেই ব্যতিক্রম। আগে থেকে কিছুই বলা যায় না। তারপরেও সবাই অনুমান করে। তবে বেশিরভাগ অনুমানই হয় বিপরীত। বর্তমান কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারনা করেই বড়রা ছোটদের শাষন করে, উপদেশ দেয় ও তিরষ্কার করে।
শিক্ষকরাও এটাই করে।
তবে যাই করুক ভালোর জন্য করে। তিরস্কার না করে শিক্ষক বা বড়রা চুপ করে থাকলে, ছোটদের সম্পর্কে তাদের অনুমিত অপ্রিয় ভবিষ্যৎ সত্য হতো। কিন্তু/যেহেতু আজ স্যার ঝাড়ি মিশ্রিত দোয়া ও উপদেশ দিয়েই দিলো, ইনশাআল্লাহ, আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্যারের উৎকন্ঠা ও আশংকা অচিরেই দূর হয়ে যাবে।
ভালো হতে পয়সা লাগে না, লাগে ঝাড়ি মিশ্রিত উপদেশ ও দোয়া। এই জিনিসটা আগের মতো এখন আর পাই না। আভাব বোধ করি।
সপ্তাহে একদিন অন্তত খুবই দরকার।

জুম্মার নামাযের ২য়

জুম্মার নামাযের ২য় রাকাতে মানুষের হাঁচি ও কাঁশি দেবার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। প্রথম রাকাতের সিজদা থেকে ওঠার পর কাঁশি দেওয়া ও নাক টানা শুরু হয়, আর নামায সালাম ফিরানো পর্যন্ত চলতেই থাকে, যেন নাক দিয়ে সব বের হয়ে যাচ্ছে এখন টেনে টেনে ভিতরে ঢুকাতে হবে। ছোট বড় বুইড়া ধুইড়া সবাই একসাথে কাঁশে। শীতকালেও কাঁশে গ্রীষ্মকালেও কাঁশে। মনে হয় যেন যক্ষা হাসপাতালের মসজিদে নামায পড়তেছি।
এ নিয়ম আমি সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। অবাক হই যখন দেখি কেউ কাঁশি থামানোর চেষ্টা না করে প্রতিযোগিতায় নামে, কে কত জোরে কাঁশি দিয়ে পারে।
নাটক ছিনেমা দেখার সময় তো কাঁশতে দেখি না। কাঁশি আসলেও সবাই চাপানোর চেষ্টা করে, অন্যরা বিরক্ত হবে এই ভেবে।
তাহলে নামাযের সময় এত সমস্যা কেন? তাও আবার অন্য নামাযে না, শুধুমাত্র জুম্মার নামাযে যত সমস্যা। প্রতিটা মসজিদেই এই সমস্যা কিছু সময়ের জন্য সৃষ্টি হয়।

চার পা ওয়ালা কাঠের একটা টেবিল

চক্ষু বন্ধ করলেই ইদানিং একটা টেবিল দেখতে পাই। চার পা ওয়ালা কাঠের একটা টেবিল।
টেবিলের ওপাশে বসে আছেন এক বা একাধিক গম্ভীর টাইপের মানুষ। যিনি চাকুরী (না) দেবার জন্য একগাদা প্রশ্ন সামনে নিয়ে বসে আছেন। আর আমি এপাশে আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফুঁ দিতে দিতে অস্থির। উনি একবার প্রশ্ন করা শুরু করলে, টেবিলের এপাশে আমার হাটু কাঁপা শুরু করবে। (শীতকালে হাটু কাঁপতেই পারে।) glasses emoticon মনে হয় যেন, উঠে দৌড় দিতে পারলে বাঁচি।
মনে মনে ভাবি কেউ যদি টেবিল টা ঘুড়িয়ে দিতো....!!!
হ্যা, আসলেই.... এই টেবিল যে করে হোক ঘোরাতেই হবে। তবে অন্য কেউ নয়, নিজেকেই ঘোরাতে হবে। টেবিলের সাথে সাথে ঘুরবে নিজের ভাগ্যের চাকাও।
নিজেকে বসাতে হবে টেবিলের ওপাশে, যেখানে বসে অন্যদের চাকুরী দেওয়া সম্ভব। এপাশে বসে কাঁপা কাঁপি আর না। প্রত্যেককে হতে হবে এক একজন উদ্যোক্তা। নিশ্চিত করতে হবে অন্যের চাকরী, নিজের নয়।
বিঃদ্রঃ এখনো বাংলাদেশে প্রচুউউউউউর ব্যবসায়ের সুযোগ রয়েছে। ক্ষুদ্র আকারে শুরু করলেই হবে।

এক দিনেই বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ গুন বেড়ে গিয়েছে

আজ এমন একটা নিউজ হতে পারতো,
সংবাদ শিরোনামঃ "এক দিনেই বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ গুন বেড়ে গিয়েছে"
বিস্তারিত সংবাদঃ গত পরশুদিন তথা ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর সবার ফেসবুক ফ্রেন্ডের জন্মদিনের সংখ্যা যা ছিলো, মাত্র এক দিনেই, তথা পরবর্তি দিন ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে সেই একই ফ্রেন্ড লিষ্টে জন্মদিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১০ গুন হয়েছে। যেহেতু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই ধারনা করা হচ্ছে এবছরও একই হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বর্তমান সরকার এবিষয়ে বড়ই উদ্বিগ্ন।
কাওসার আহমাদ সোহানের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম উনার ফ্রেন্ডলিষ্টেরও একই অবস্থা। তিনি বললেন, "এটা অবশ্যই একটা মিরাকেল। একদিনে জন্মহার এতো বাড়ে কিভাবে...!! ১লা জানুয়ারি আমার ফ্রেন্ডলিষ্টের ২৭৮ জনের জন্মদিন ছিলো, আর আজ ২রা জানুয়ারি মাত্র ২৮ জনের জন্মদিন। আজকের তুলনায় গতকাল ১০.০৭১ গুন বৃদ্ধি পেয়েছিলো। যাইহোক সবই আল্লাহর ইচ্ছা। শুভ জন্মদিন। জুম্মা মোবারক।"

এতোক্ষন আপনারা তার বক্তব্য শুনলেন। অন্যান্য আরো অনেকেই এবিষয়ে মতামত প্রদান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বড়ই চিন্তার বিষয়।

অতীতের কোন এক বাদশাহ

অতীতের কোন এক বাদশাহ একটি অত্যাধুনিক শহর নির্মান করল, অতঃপর খাবার-দাবারের আয়োজন করে মানুষকে দাওয়াত দিল, আহার শেষে শহরের প্রবেশদ্বারে কিছু লোক বসিয়ে রাখল, তারা ভিতর থেকে যারা বের হচ্ছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল যে এই শহরের মধ্যে কোন ত্র“টি তোমাদের দৃষ্টি গোচর হল কি?
উত্তরে লোকেরা বলতে লাগল না।
সবশেষে কিছু লোক আসল দ্বার রক্ষকরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করল এই শহরের কোন ত্র“টি তোমাদের দৃষ্টি গোচর হল কি?
তারা বললঃ হা দু’টি ত্র“টি আমরা লক্ষ্য করেছি, তখন দ্বার রক্ষকরা তাদেরকে বাদশার নিকট নিয়ে গেল, বাদশা তাদেরকে জিজ্ঞেস করল ত্র“টিগুলো কি কি?
তারা বললঃ এই শহর নষ্ট হয়ে যাবে এবং তার মালিক মৃত্যুবরণ করবে।
বাদশা বললঃ এমন কোন ঘর আছে কি যা কখনো নষ্ট হবে না এবং তার মালিক মারা যাবে না?
তারা বললঃ হা, পর কালের ঘর।
তাদের কথা শুনে বাদশা তার বাদশাহী ত্যাগ করে তাদের সাথী হয়ে আল্লাহ্র ইবাদত করতে লাগল।
ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)বলেনঃ
মৃত্যুর পর বসবাস করার মত মানুষের কোন ঘর নেই
তবে সেই ঘর ব্যতীত যা সে মৃত্যুর পূর্বে (পরকালের জন্য) নির্মান করেছে
যদি তা ভাল ভাবে নির্মান করে থাকে তাহলে সেখানে সে আরামদায়ক ভাবে বসবাস করেব
আর যদি তা ভাল ভাবে নির্মান না করে থাকে তাহলে নির্মানাকারী সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন

কাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন হয়ে গেল। স্কুল-কলেজ শেষ করে আনন্দময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনটিও শেষ হয়ে গেল। এই ছবিগুলো থাকবে সৃতি হিসাবে। জীবনের এপর্যায়ে এসে এতটা হতাশ হতে হবে বুঝিনি। বর্তামন সম্পদ হিসাবে সাথে আছে দীর্ঘ চার বছরের শত আশা-আকাক্ষা, আর আছে চলার মতো একটা CGPA. আশার কথা কে শোনে, বাকি জীবন লড়তে হবে এই CGPA নিয়েই।

জীবনটা সম্পূর্ণ নিজের হলে সমস্যা ছিলো না, জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে বর্তামান ও ভবিষ্যত পরিবাবের কিছু মানুষ। আমার থেকে আমাকে নিয়ে তাদের আশা আরো বেশী।

এই চার বছরে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অনেক কিছুই করতে চেয়েছি, অনেক উদ্যোগও নিয়েছি। লাভ কি? বাস্তবায়ন আর হলো কোথায়।

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত বাস্তবতার মুখোমুখি হতেই হলো।
এতদিন যারা শুধু দিয়েই গেছে, আজ তারা নেবার জন্য প্রস্তুত। পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেশের কাছে অনেক দেনা হয়ে গেছে, এসব শোধ করতে হবে।

আমার গ্রাজুয়েশন এখনো শেষ হয়নি। তাই এই পোশাক পড়ার মতো সাহস দেখাতে পারলাম না। কিন্তু, আমি যেহেতু হাফ গ্রাজুয়েট, তাই শুধুমাত্র ক্যাপ টা পড়েই সন্তুষ্ট থাকলাম।
আর গ্রাজুয়েশন শেষ করে, আমার পরিস্থিতি উপরোক্ত স্টাটাসের চেয়ে অনেক ভালো হবে বলে মনে হয় না।

জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে নিজেকে মূল্যায়ন করা আমার স্বভাব।