My Experience

CV of Sk. Kawser Ahmed



সিভির বাইরের কিছু...

কবিরাজী


সপ্তম শ্রেণীর প্রথম দিক থেকে শুরু হয়েছিল আমার কবিরাজি জীবন। টানা সাত বছর আমি পার করেছি কবিরাজি করে। শুনতে কেমন যেন লাগছে। আসলে আমাদের বাসার পাশেই একজন কবিরাজ থাকতো। ছোট বেলায় আমি খুব ভাল আরবি লিখতে ও পরতে পারতাম, যদিও এখনও পারি। যাই হোক ওই কবিরাজ আমাকে বলতো তার বাসায় গিয়ে আরবি লিখে দিতে। কিছুদিন যাবার পর ধীরে ধীরে এটা আমার দৈনন্দিন কাজে পরিনত হল। প্রতিদিন যেতাম, বসতাম, বড় বড় বিভিন্ন তাবিজের কিতাব বের করে কবিরাজের প্রয়োজন অনুযায়ী তাবিজ লিখতাম। বিভিন্ন প্রকারের তাবিজ লিখতে হত। প্রেম- ভালবাসা, জিনের আছর ভাল করা, ছোটোখাটো রোগ, পালাতক ব্যেক্তিকে ফিরিয়ে আনার জন্য, সামি স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য, দুষ্টু ছেলে-মেয়েদের ভাল করার জন্য, নেশাগ্রস্ত ব্যেক্তির নেশা ছারানর জন্য, ইত্যাদি ইত্যাদি কাজ বেশী করতে হতো। কাজ হচ্ছে কিনা, কে এই তাবিজ ব্যবহার করছে এসব ব্যাপারে আমি মাথা ঘামাতাম না। আমি শুধু কিতাব থেকে দেখে দেখে একটা পাতলা কাগজে মেসকো জাফরান কালি দিয়ে আরবি লিখতাম আর ব্যবহার এর নিয়ম আর একটা সাদা কাগজে লিখে দিতাম। ক্রমান্বয়ে আমার ঘাড়ে আর বড় দায়িত্ব আসে পড়ল। তখন পুরো বিষয়টা কেই আমাকে দেখতে হত। কবিরাজের কাজ ছিল রোগী জোগাড় করা। মাঝে মাঝে রোগীদের সাথে আমারও কথা বলতে হত। তাদের সমস্যা শুনে সেই অনুযায়ী তাবিজ খুঁজে, লিখে, প্যাকেট করে তাদের বুঝিয়েও দিতে হতো। কিছু কিছু তাবিজের ক্ষেত্রে বড় বড় সূরা এর আয়াত পড়ে বিভিন্ন খাবারে ফুঁ দিয়ে দিতে হতো। এটা করতে হতো বশীকরণের ক্ষেত্রে। সব থেকে মজার ব্যাপার হলো দেখতাম অনেক কার্যকারী আর আমার জীবনে লাগতে পারে সেগুলো আমি লিখে বাসায় নিয়ে আসতাম। পরে আমার ডাইরি তে ভাল করে নিয়মসহ তুলে রাখতাম। পুরাই কবিরাজি শিখে গিয়েছিলাম। ভালই লাগত। আমার বন্ধুরা অনেকে কবিরাজ সাহেব বলেও ডাকতো। কয়েকটা বন্ধু তো তাদের পছন্দের মেয়েকে বশ করার জন্য আমার কাছে আসতো। তাবিজ গুলো এখনও আছে আমার কাছে। পরে জানতে পারলাম এটা ইসলামে নিষেধ আছে। তাই সব ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। এখন খুলনায় গেলে কবিরাজ আমাকে কিছু বড় বড় তাবিজ লিখে দিতে অনুরোধ করে। মাঝে মাঝে লিখে দেই। নিশেধ করি শুনেন না। জানি আমি না করলেও আর কেউ ঠিকই উনার কাজ করে দিবেন। যাই হোক আমি সব ছেড়ে দেয়ে চলে এসেছি। আছে কিছু সৃতি আর সেই তাবিজে। মূল্যবান অক্ষত ডাইরী টা।

সাংবাদিকতা।

সাংবাদিকতার উপর ৩ মাসের একটা কোর্স করেছিলাম। দীর্ঘ তিন মাস কঠোর পরিশ্রম করে শিখলাম কিভাবে নিউজ সংগ্রহ করতে হয়, লিখতে হয়, প্রেস রিলিজ গুলো কিভাবে তৈরি করতে হয়, পুলিশদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, রিপোর্ট করার সময় কথা গুলো কিভাবে লিখতে হয়, রেকর্ড করতে হয়, ভাষণ থেকে রিপোর্ট করার পদ্ধতি, আরও কতো কি...বিশেষ করে আমাদের হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য একটা ভাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। এর পর সার্টিফিকেট হাতে পেতে না পেতেই জুনিওর স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে যোগদান করলাম, খুলনার একটা লোকাল পত্রিকায়। পত্রিকাটা অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। মাঝে কিছু দিন বন্ধ ছিল। তো সেখানে প্রতিদিন উপস্থিত থাকতে হতো। সাংবাদিকতার চাকরিটা এমন যে এখানে কোন সাপ্তাহিক ছুটি নাই (!!)। পুরো সপ্তাহ কাজ করতে হবে। যাই হোক সারাদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে নিউজ সংগ্রহ করতে হবে, সন্ধ্যায় অফিসে বসে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে হাতে লিখে ৮ টার ভিতরে জমা দিতে হবে। ক্রাইম রিপোর্ট এর ক্ষেত্রে থানায় থানায় ফোন করে শুনতে হতো কোন নিউজ আছে কিনা। বিভিন্ন থানা থেকে বিভিন্ন রিপোর্ট আসতো। কোন ওসি বলত ২০ বোতল ফেনসিডিল ধরা পরেছে...নাম ঠিকানা ইত্যাদি...। অন্য ঘটনা ঘটলে তাই বলত আর আমরা রিপোর্ট লিখতে হতো। কাজটা অনেক মজার ছিল। আর সবাই অনেক সন্মান করতো। আমাকে দিনে ২ বার সদর হাঁসপাতালে যেতে হতো। সেখানে গিয়ে ইনডোর- আউটডোরে কোন পুলিশ কেস আছে কিনা দেখে সেই বেডে গিয়ে রোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে সংবাদ লিখতাম। এর মধ্যে মারামারি করে ভর্তি হওয়া, বাসের মধ্যে অজ্ঞান করে পকেট মারা, এই সব প্রায় দিনই পাওয়া যেত। 

লেখক

বর্তমানে নোট/গাইড বই এর লেখক হিসাবে আছি The Royal এ। টেক্সট বই এর অনুবাদ করি, প্রশ্ন বানাই, নিজেই উত্তর দেই, সেই বই আবার সারা বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা পড়ে, শিখে, মানুষের মতো মানুষ হয়। কিন্তু আমাকে চিনে না। বই ঘাটালে আমার নাম পাওয়া যাবে। শুরুতে নয়, গল্পের ভিতরে। টাইপিস্ট টাইপ করার পর আবার আমাকে সম্পাদনার কাজ করতে হয়। মজাই লাগে। ভাল তো। এটা ছিল ক্লাস ফাইভ এর গাইড বই। এছাড়া কাজ করছি রয়্যাল ডিকশনারির। ইংরেজি টু বাংলা। এর পর আরো বই আসবে। আরো বই লিখব। নোটবই ছাড়াও অন্য বই লিখব, গল্পের বই, কবিতার বই, নিজের বই, ফেসবুক পোষ্ট, নোট, আর এই ব্লগ তো আছেই।

মৎস্য শিকার

আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে পুকুরে মাছ ধরে। বসার সামনেই দাদুর রেখে যাওয়া পুকুরে। খুলনা শহরে দাদুর একটা পকুর আর তার পাশে বেশ কিছু জায়গা ছিল। আব্বু ছোট বেলায় গ্রাম থেকে খুলনায় এসে আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয় আর ওই পুকুর পাশে একটা ঘরে থাকা শুরু করে। পরে আব্বুর পরিবার হলেও সেই পুকুর পাড় থেকে এখনও সরে যাওয়া হয়নি। ইচ্ছাও নাই। আমি, বড় ভাইয়া বেরে উঠেছি সেখানেই। জড়িয়ে আছে জীবনের সব সৃতি গুলো। ওই পুকুর তার পাশে আর অনেক পুকুর ছিল। ইতিমধ্যে সব পুকুর গুলোই ভরাট করে বড় বড় বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের বাসাটা পুকুরের পাশ থেকে হালকা সরিয়ে ভাল করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পুকুর টা এখনও আছে। দাদুর সৃতি হিসাবে রেখে দিতে চাই। যাই হোক ওই পুকুর টায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আবার বিকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ ধরতাম। ডান হাতে থাকতো একটা ছিপ আর বাম হাতে থাকতো মাছের খাবার। রোদে, বৃষ্টিতে, দিনে, রাতে সব সময় ছিপ নিয়ে বসে থাকতাম। তেলাপিয়া, নাইলোটিকা, রুই, গ্লাসকার্প এই সব মাছ বেশী ধরা হতো। পুকুরের ২ পাশ খোলা আর ২ পাশে দেওয়াল দেওয়া। মাঝে মাঝে দেওয়াল এর উপর বসে পা ঝুলিয়ে মাছ ধরতাম। আমার সাথে চাচাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, বন্ধুরাও কেউ কেউ এসে বসত। আমার তখন একটা অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল। নাম কবির। ৯-১০ বছর বয়স হবে। সারাদিন আমার সাথে সাথে থাকতো, বড়শি তে আদার গেথে দিত, বড়শি থেকে মাছ ছাড়াত, মাছ বাসায় দেয়ে আসতো। আমার পিসিতে গেম খেলত। এখনও বাসায় গেলে মাছ ধরার চেষ্টা করি, যদিও সময় আর আগের মতো পাই না।

  

First English poem

I have read
More than need,
I also did
Hard working.
I have dreamt
For a good result.
Finally
I have got
What I wanted
But
I could not read
What my creator said,
I could not dream
For a life in Jannat.

Poem 2
Thinking

Thinking thinking 
Thinking is the best,
Before doing any work 
There is no way
Thinking thinking 
Thinking is the best.
If you want to do any work
Successfully
You have to think over the mater
Clearly.

স্বার্থপর
                                                 রাজীব আহমেদ তুহিন (বড় ভাই)

একজনকে কাঁদিয়ে বেদনায় জ্বালিয়ে 
ফিরে এলে আমার কাছে,
হয়তো আমি চাইতাম তোমায়
বলতে কভু পারিনি,
তবু আমি এমনিভাবে

তোমায় আশা করিনি।

 তাকে ছেড়ে সুখের খোজ যেমন
আমার কাছে চাও,
অন্য কোথাও সুখ পেলে যদি
আমায় ভুলে যাও।


কজনকে ছেড়ে যেমন
আসলে আমার কাছে,
আমায় ও যে ছাড়বেনা
তার কি গ্যারান্টি আছে?

বিনা দোষেই ছাড়লে তাকে
কেমন তোমার বিচার,
আমিও তেমনি চাইনা হতে
ব্যর্থ প্রেমের শিকার।

 Please বোঝার চেষ্টা করো
ভুল বোঝনা আমাকে
একাই আমি থাকবো ভালো
সংযত করে নিজেকে।


তোমার রুপ


দীপু (STUDENT)



তোমার সাথে প্রথম দেখা
যেদিন তুমি ছিলে একা,
বলবো তোমার রুপের কথা
যা দিয়েছে তোমাকে বিধাতা।

দুধে আলতা গায়ের বরন
দিঘল কালো এলো চুল,
লজ্জাবতি লাজুক লতা
হাসলে পড়ে গালে টুল।

এই হাসি যাকে দিয়েছে বিধাতা
সে আর বলবে না কথা,
হাসির ভিতর সবটুকু সুখ,
হাসির ভিতর প্রেমের জত্ত্ব
খুজে দেখ তোমরা সবাই
পাবে না কেউ স্বর্গ মত্ত্ব।

তোমার কন্ঠ শুনে কোকিল ও সে বোবা হয়ে যাবে
এমন মিষ্টি সুর-চারাগাম বলোনা সে কোথায় পাবে।
তেমার কথা শুনে কোকিল পাবে অনেক লজ্জ্বা
তোমার কথার ভিতর লুকিয়ে আছে প্রেমের রুপসজ্জ্বা।
 

2 comments:

  1. মেসকো জাফরান কালি কিভাবে তৈরি করে?একটু বলবেন Please.

    ReplyDelete
    Replies
    1. দোকানে মেশক ও জাফরান কিনতে পাওয়া যায়। গুড়া অবস্থায়। তার সাথে ডাবের পানি বা গোলাপজল দিয়ে ঘন করে আতরের বোতল পরিমানের কালি বানিয়ে রাখতাম। পরে অবশ্য দেখেছি লিকুইড অবস্থায়ও কালি পাওয়া যায়।
      ধন্যবাদ :)

      Delete