Travelling

সাতক্ষীরা

একদিনে পুরা সাতক্ষীরা। ;-) কাল যাবো পিরোজপুর। :-)

মিল্কি আইসক্রিম কোম্পানির গাড়িতে করে যাচ্ছি সাতক্ষীরা ভ্রমণে। আমার কাজ প্রকৃতি দেখা আর এলাকা চেনা। বাংলাদেশ অনেক সুন্দর। এদিকে প্রচুর ফাকা যায়গা। কিছুদূর পরপর কলকারখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিছু জায়গার নাম মনে রাখা দরকার।
শুরু খুলনা থেকে...
নতুন রাস্তা
হযরত খানজাহান আলি সিটি
রায়ের মহল
টুটুল নগর
উত্তরণ সৃতিসৌধে
জিরোপয়েন্ট
খুলনা পল্লী বিদ্যুত
প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
গুটিদিয়া, ডুমুরিয়া
চুকনগর
পাটকেলঘাটা

সাতক্ষীরা....কদমতলা বাজার, কলারোয়া উপজেলা, কাজিরহাট, খোর্দ্দহাট, ত্রিমোহনী, কেশরপুর, ব্রজবাক্সা, মাধবকাটি, ভাড়ুখালি, মাহমুদপুর, আলিপুর বাজার, ভোমড়া রোড
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ বর্ডার
সুলতানপুর বাজার.... আরো অনেক....



পিরোজপুর ভ্রমণ


বলা যায় এটা একটা লং ড্রাইভ। আজ ঘুরলাম পুরো পিরোজপুর। হ্যা, প্রায় পুরোটাই। অলিগলি সহ প্রায় প্রতিটা গ্রাম।
এই এলাকা অনেক বেশি সুন্দর। না দেখলে বোঝা যাবে না। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। এদিকের মেয়েগুলো অনেক বেশি সুন্দর। আল্লাহ যেন এদের রুপ ঢেলে দিয়েছে। তেমনই সুন্দর গ্রামগুলো। রোডের দু পাশেই আগামাথা লম্বা খাল। তার ওপাশেই বাড়িগুলো। কোন বাড়িতে যেতে হলেই সাকো বা ব্রীজ। যাদের অনেক টাকা আছে ব্রীজ বানিয়েছে, যাদের কম তারা সাকো বানিয়ে পার হয়। আর সরকারি লোকের বাড়ি যেতে হলে হয়তো ...কনক্রিটের তারে খাম্বার সাকো পার হতে হয়। :-P
এসি গাড়ি, ভিতরে আড্ডবাজি আর বাইরে বৃষ্টি। কিছুক্ষন পরপর নামি, খাই, আর এলাকা দেখি। ওই এলাকার লোকেদের মনে হয় ওসুখ কম হয়। এতো সুন্দর বাতাস আর এমন পরিবেশ, বুক ভরে শ্বাস নিলেই তো পরান ঠান্ডা হয়ে যায়।
চিকনা চিকনা সুপারি গাছ এতো লম্বা ক্যামনে হয়? আবার মানুষ নাকি ওর মাথায় ওঠে, কাত হয়ে পড়েও না। রাস্তার দুপাশের অন্য গাছগুলো একেবারে রাস্তা ঢেকে রেখেছে। যাই হোক, বর্ননা লিখলে সহজে শেষ হবে না।
এক কথায় সুবহানাল্লাহ। এদিকে আবার আসবো ইনশাআল্লাহ।


ছবিতে একটা টোপলা আছে। ওর ভিতর ২৫ টা ১ টাকার কয়েন। টোপলা বানিয়ে লেনদেন হয় ওদিকে। আরো কয়েকা টোপলা দেখলাম। তাতে ৫ টাকার ১০০ টা কয়েন। মানে ৫০০ টাকার থলে। আগের স্টাইল। ৫০০ টাকার নোট না দিয়ে ওর ১ টোপলা ধরিয়ে দেয়। সবকিছুতেই মজা।
কিছু যায়গার নাম সিরিয়ালি লিখে রাখলাম। পরে কাজে লাগবে। আমরা ছিলাম তিন জন।
নতুনরাস্তা, খুলনা থেকে যাত্রা শুরু।

রুপসা ব্রীজ পার হয়ে ডানে, বায়ে, অতপর বাগেরহাট সী ফুড এবং আরো সামনে
বাগেরহাট...সেখানে...
ষাট গম্বুজ মসজীদ, খানজাহান আলী মাজার, বাগেরহাট ডিগ্রী কলেজ, আদালত, বাগেরহাট জেলা কারাগার, বৈটপুর মমিন উদ্দিন প্রাঃ বিদ্যালয়...

পিরোজপুর এখনো ১৮ কিমি
বরিশাল এখন থেকে ৮৫কিমি


পিরোজপুরের কিছু এলাকা...
ফতেরপুর, সাইনবোর্ড বাজার, কচুয়া, বাধল বাজার, মহেশপুর, তেজকাঠি, চলিশা বাজার, চুঙ্গাপাশা বাজার, শ্রীরামকাঠি, নাজিরহাট, কালিবাড়ি
কবিরাজবাড়ি, হযরত শাহজালাল হোটেল, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স, রাজারহাট....


আরো অনেক এলাকা। একটারওতো নাম জানতাম না। সাইনবোর্ডে যে কটা চোখে পড়লো আর যা মনে আছে...
নিরাপদেই পৌছলাম বাসায়। ট্যাংক রোড, খুলনা। আলহামদুলিল্লাহ।।
আরো ধন্যবাদ, ভাইকে, ভাইকে আর কোম্পানির গাড়িকে। :-)










No comments:

Post a Comment